প্রযুক্তি দুনিয়ার আপকামিং চমক উইন্ডোস টেন এর জন্য আই ট্র্যাকিং (টেস্টিং এর জন্য বেটা ভার্সন ইতিমধ্যেই বেড়িয়েছে)
মাত্র কিছুদিন আগেই প্রযুক্তি দুনিয়ার বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান Microsoft Inc. উইন্ডোস ১০ এর জন্য বিল্ট ইন আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিল আর ইতিমধ্যেই তারা উইন্ডোস টেন এর জন্য আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়ে অনেক কাজ করে ফেলেছে এবং এই প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেবার জন্য বলতে গেলে প্রায় কোমড় বেধে লেগেছে। অবশ্বাস্য হলেও সত্যি ইতিমধ্যেই তারা উইন্ডোস টেন এর Insider Preview Build এ আই ট্র্যাকিং এর জন্য কন্ট্রোল সিস্টেম ডেভেলাপ করে ফেলেছে।
যদিও এখনো সেটা বেটা ভার্সন তবে আশা করা যায় কিছুদিনের মাঝেই আমরা পূর্ণাঙ্গ ভার্সন বা ফুল ভার্সন পাবো। Tobii Eye Tracker 4C এর সাথে কাজ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে উইন্ডোসের এই ভার্সন। যদি আপনার কাছে Tobii Eye Tracker 4C ইকুইপমেন্ট থেকে থাকে তাহলে আর দেরী কিসের আজই উইন্ডোসের Insider Preview Build ভার্সনে গিয়ে টেস্ট করে দেখতে পারেন উইন্ডোসের আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তির বেটা অবস্থা।
Preview Build টি মূলত আই কন্ট্রোল আসলে কিভাবে কাজ করে সেটা গভীরভাবে বোঝার জন্য ব্যবহৃত হবে। প্রযুক্তি বাজারে নতুন আসা আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি এবং এক্সেসরিস এর সাহায্যে আই ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে কিভাবে আরো দ্রুত টাইপ এবং টেক্সট টু স্পিচ বা অনুবাদ এর মত কাজগুলি করা যায় সেটা নিয়েই কাজ করছে মাইক্রোসফট।
অদূর ভবিষ্যতে আমরা এমন প্রযুক্তি দেখতে চলেছি যেটাকে মাইক্রোসফট বলছে, 'Shape Writing'। যার মাধ্যমে টাইপিং স্পিড বেড়ে যাবে কয়েকগুণ কেননা এই প্রযুক্তি সফল হলে টাইপ করার জন্য কখনোই কীবোর্ড চাপতে বা মুখে বলতে হবে না, শুধুমাত্র অক্ষরের উপর তাকিয়ে বা নজর দিয়েই করা যাবে টাইপ যেটাকে মাইক্রোসফটের ভাষায় বলা হচ্ছে 'simply glancing at letters in between'।
এবং অনেকটা এখনকার গুগল সাজেশন এর মত কোন একটি অক্ষর এর দিকে তাকালে বেশ কিছু হিন্ট বা সাজেশন আসবে এবং সেখানে কাঙ্খিত শব্দ না থাকলে ইশারার মাধ্যমেই পালটানো যাবে হিন্টগুলো তবে অবশ্যই বর্তমান গুগল এবং অন্যান্য কীবোর্ড সাজেশনের চেয়ে অনেক বেশি ইফেক্টিভ এবং উন্নত হবে মাইক্রোসফটের হিন্ট। মাইক্রোসফটের মত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা এক্ষেত্রে একটুখানি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ছোঁয়া দেখার প্রত্যাশাও করতেই পারি।
বর্তমানে মাইক্রোসফট শুধুমাত্র Tobii কোম্পানির আই ট্র্যাকিং হার্ডওয়্যার নির্ভরশীল সিস্টেম ডেভেলাপ করার উপর কাজ করছে কিন্তু সামনে Tobii Dynavox PCEye Mini, PCEyePlus, EyeMobile Plus, আর I-series এর আই কন্ট্রোল উইন্ডোস টেন এ ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে মাইক্রোসফটের। মাইক্রোসফট ইতিমধ্যেই অন্যান্য কোম্পানির হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করার আগ্রহ এবং নিশ্চয়তা প্রদান করেছে যে তারা কাজ করবে।
এতক্ষণ ধরে এই টিউনটি পড়ার পর আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন জেগেছে আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়ে। আসলে কি এই আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি? কিভাবে কাজ করে এটি? চলুন জেনে নেয়া যাক আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সম্পর্কে।
আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি কি?
নামেই বোঝা যায় আই বা চোখের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। 'আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি' হল আপনার চোখকে ট্র্যাক করার প্রযুক্তি অর্থাৎ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আপনার চোখ এর গতিবিধি লক্ষ্য করার যে প্রযুক্তি সেটাই আই ট্র্যাকিং। চোখ এর দৃষ্টি অনুসরণ করে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করার জন্য এই প্রযুক্তি ডেভেলাপ করা হয়েছে। আপনার চোখ ট্র্যাক করে কোন একটি ডিভাইস চালনার জন্যই এই প্রযুক্তি।
এক কথায় বলতে গেলে, আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি হল একটি সেন্সর প্রযুক্তি যেটা চোখ ট্র্যাক বা রেকর্ড করে কোন একটি ডিভাইস পরিচালনা করে।
আই ট্র্যাকিং কিভাবে কাজ করে?
আই ট্র্যাকিং ডাটা সংগ্রহ করা হয় একটি রিমোট বা হেড-মাউন্টেড 'আই ট্র্যাকার' দিয়ে যেটা সংযুক্ত থাকে একটি প্রোগ্রাম করা কম্পিউটারের সাথে। 'আই ট্র্যাকার' গুলি মূলত দুটি অংশ নিয়ে তৈরী হয়। একটি আলোক উৎস(Light Source) এবং একটি ক্যামেরা। আলোক উৎস(আবলাল) মূলত সরাসরি চোখের উপর সবসময় থাকে।
ক্যামেরাটি প্রতিফলিত আবলাল আলোকে ট্র্যাক করে। চোখের ঘুর্ণন এবং তাকানোর ধরণের উপর ডাটা এনালাইসিস করা হয়। অতিরিক্ত ডাটা সংগ্রহ করা হয় চোখের পাতি ফেলার সংখ্যার এবং সময়ের উপর বিশ্লেষণ করে। এবং শেষে সংগ্রহীত ডাটা সমূহ আই ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়।
ভবিষ্যত পৃথিবী হতে চলেছে সেন্সর নির্ভর প্রযুক্তি পণ্যসমূহের উপর। হাতের ইশারা, চোখের ইশারা, চেহারার অভিব্যক্তি এসবের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সকল বস্তু এবং ডিভাইস আর 'আই ট্র্যাকিং' হতে পারে এই সবগুলোর অগ্রগণ্য।
যদিও এখনো সেটা বেটা ভার্সন তবে আশা করা যায় কিছুদিনের মাঝেই আমরা পূর্ণাঙ্গ ভার্সন বা ফুল ভার্সন পাবো। Tobii Eye Tracker 4C এর সাথে কাজ করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে উইন্ডোসের এই ভার্সন। যদি আপনার কাছে Tobii Eye Tracker 4C ইকুইপমেন্ট থেকে থাকে তাহলে আর দেরী কিসের আজই উইন্ডোসের Insider Preview Build ভার্সনে গিয়ে টেস্ট করে দেখতে পারেন উইন্ডোসের আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তির বেটা অবস্থা।
Preview Build টি মূলত আই কন্ট্রোল আসলে কিভাবে কাজ করে সেটা গভীরভাবে বোঝার জন্য ব্যবহৃত হবে। প্রযুক্তি বাজারে নতুন আসা আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি এবং এক্সেসরিস এর সাহায্যে আই ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে কিভাবে আরো দ্রুত টাইপ এবং টেক্সট টু স্পিচ বা অনুবাদ এর মত কাজগুলি করা যায় সেটা নিয়েই কাজ করছে মাইক্রোসফট।
অদূর ভবিষ্যতে আমরা এমন প্রযুক্তি দেখতে চলেছি যেটাকে মাইক্রোসফট বলছে, 'Shape Writing'। যার মাধ্যমে টাইপিং স্পিড বেড়ে যাবে কয়েকগুণ কেননা এই প্রযুক্তি সফল হলে টাইপ করার জন্য কখনোই কীবোর্ড চাপতে বা মুখে বলতে হবে না, শুধুমাত্র অক্ষরের উপর তাকিয়ে বা নজর দিয়েই করা যাবে টাইপ যেটাকে মাইক্রোসফটের ভাষায় বলা হচ্ছে 'simply glancing at letters in between'।
এবং অনেকটা এখনকার গুগল সাজেশন এর মত কোন একটি অক্ষর এর দিকে তাকালে বেশ কিছু হিন্ট বা সাজেশন আসবে এবং সেখানে কাঙ্খিত শব্দ না থাকলে ইশারার মাধ্যমেই পালটানো যাবে হিন্টগুলো তবে অবশ্যই বর্তমান গুগল এবং অন্যান্য কীবোর্ড সাজেশনের চেয়ে অনেক বেশি ইফেক্টিভ এবং উন্নত হবে মাইক্রোসফটের হিন্ট। মাইক্রোসফটের মত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা এক্ষেত্রে একটুখানি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ছোঁয়া দেখার প্রত্যাশাও করতেই পারি।
বর্তমানে মাইক্রোসফট শুধুমাত্র Tobii কোম্পানির আই ট্র্যাকিং হার্ডওয়্যার নির্ভরশীল সিস্টেম ডেভেলাপ করার উপর কাজ করছে কিন্তু সামনে Tobii Dynavox PCEye Mini, PCEyePlus, EyeMobile Plus, আর I-series এর আই কন্ট্রোল উইন্ডোস টেন এ ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে মাইক্রোসফটের। মাইক্রোসফট ইতিমধ্যেই অন্যান্য কোম্পানির হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করার আগ্রহ এবং নিশ্চয়তা প্রদান করেছে যে তারা কাজ করবে।
এতক্ষণ ধরে এই টিউনটি পড়ার পর আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন জেগেছে আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়ে। আসলে কি এই আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি? কিভাবে কাজ করে এটি? চলুন জেনে নেয়া যাক আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সম্পর্কে।
আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি কি?
নামেই বোঝা যায় আই বা চোখের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। 'আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি' হল আপনার চোখকে ট্র্যাক করার প্রযুক্তি অর্থাৎ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আপনার চোখ এর গতিবিধি লক্ষ্য করার যে প্রযুক্তি সেটাই আই ট্র্যাকিং। চোখ এর দৃষ্টি অনুসরণ করে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করার জন্য এই প্রযুক্তি ডেভেলাপ করা হয়েছে। আপনার চোখ ট্র্যাক করে কোন একটি ডিভাইস চালনার জন্যই এই প্রযুক্তি।
এক কথায় বলতে গেলে, আই ট্র্যাকিং প্রযুক্তি হল একটি সেন্সর প্রযুক্তি যেটা চোখ ট্র্যাক বা রেকর্ড করে কোন একটি ডিভাইস পরিচালনা করে।
আই ট্র্যাকিং কিভাবে কাজ করে?
আই ট্র্যাকিং ডাটা সংগ্রহ করা হয় একটি রিমোট বা হেড-মাউন্টেড 'আই ট্র্যাকার' দিয়ে যেটা সংযুক্ত থাকে একটি প্রোগ্রাম করা কম্পিউটারের সাথে। 'আই ট্র্যাকার' গুলি মূলত দুটি অংশ নিয়ে তৈরী হয়। একটি আলোক উৎস(Light Source) এবং একটি ক্যামেরা। আলোক উৎস(আবলাল) মূলত সরাসরি চোখের উপর সবসময় থাকে।
ক্যামেরাটি প্রতিফলিত আবলাল আলোকে ট্র্যাক করে। চোখের ঘুর্ণন এবং তাকানোর ধরণের উপর ডাটা এনালাইসিস করা হয়। অতিরিক্ত ডাটা সংগ্রহ করা হয় চোখের পাতি ফেলার সংখ্যার এবং সময়ের উপর বিশ্লেষণ করে। এবং শেষে সংগ্রহীত ডাটা সমূহ আই ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়।
ভবিষ্যত পৃথিবী হতে চলেছে সেন্সর নির্ভর প্রযুক্তি পণ্যসমূহের উপর। হাতের ইশারা, চোখের ইশারা, চেহারার অভিব্যক্তি এসবের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সকল বস্তু এবং ডিভাইস আর 'আই ট্র্যাকিং' হতে পারে এই সবগুলোর অগ্রগণ্য।
Comments
Post a Comment