ব্লু হোয়েল কি? কোথায় আছে এর সঠিক ডাউনলোড লিংক? নাকি এটি বানোয়াট বা গুজব?
ব্লু হোয়েল আসলে কি? social media তে উঠেছে এই ব্লু হোয়েল নিয়ে ঝড়। কেউবা বলে এটি একটি গুজব। আবার বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেছেন যে এটি একটি মরণ গেম। অনেক অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের হাতে এখন মোবাইল কম্পিউটার ইন্টারনেট দিতেও ভয় পাচ্ছেন এই গেমস এর কথা শুনে।
ব্লু হোয়েল
‘ব্লু হোয়েল ‘ বা Blue whale এর অর্থ নীল তিমি। নীল তিমিরা মৃত্যুর আগে সাগরের তীরে উঠে আসে – তারা আত্মহত্যা করে বলে অনেকের ধারণা ! একারণেই গেমের নাম রাখা হয়েছে ‘ Blue whale ‘ বা নীল তিমি। blue whale গেমসটিকে অনেকে Blue whale Challenge এবং wake me up at 4:20 am নামেও ডেকে থাকে। গেমসটি অভিক্ষিপ্তাবস্থায় প্রথম দেখা যায় Novaya Gazeta নামক রাশিয়ান নিউজপেপারের একটি আর্টিকেলে। ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্লু হোয়েল গেমটি ২০১৩ সালে রাশিয়ায় তৈরি হয়। ফিলিপ বুদেকিন নামক রুশ হ্যাকার সেই এই গেমের আবিষ্কর্তা হিসেবে দাবি করে যে কিনা সাইকোলজির ছাত্র ছিলো এবং ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছিলো ছাত্র। এই গেমসটি শুরু হয় ২০১৩ সালে রাশিয়ায়। গেমটির সূত্রপাত ঘটে ‘ভিকোন্তাকে(VK.com)’ নামক সোশ্যাল নেটওয়ার্কে, যার পরিচালক ছিল ‘F57’ নামে একটি গ্রুপে। F57 মূলত ‘ডেথ গ্রুপ’ নামে পরিচিত। ২০১৫ সালে গেমটির জের ধরে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। প্রতিদিন ইন্সটাগ্রামে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটিতে কে কোন লেভেলে আছে তা টিউন করার রীতিমতো একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। ২০১৬ সালের এই ঘটনাটি প্রথমবার সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরেন রাশিয়ান এক সাংবাদিক। অল্প সময়ের মধ্যে এত জন সমবয়সীর আত্মহত্যার ঘটনায় টনক নড়ে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক পর্যায়েরও। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সাইবেরিয়ার(আফ্রিকা) দুই স্কুল ছাত্রী ইউলিয়া কনস্তান্তিনোভা ওভা এবং ভেরোনিকা ভলকোভা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এই দুটি ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়নি, বরং তাদের মধ্যকার যোগসূত্র খুঁজতে খুঁজতে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন সাপই বেরিয়ে আসে। আত্মহত্যার আগে ইউলিয়া কানস্তান্তিনোভা ওভা তার সোশ্যাল পেইজে একটি তিমির ছবি টিউন করে এবং তার সাথে ক্যাপশন লিখে যায় 'End’।
১৬ বছরের ভেরোনিকা ভলকোভা, ব্লু হোয়েল গেমের প্ররোচনায় ১৪ তলা বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।
[ মানপ্রিত নামের এক ছেলের প্রসঙ্গ ধরে জানা যায় মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে গত মাসে(আগষ্ট ২০১৭) ছেলেটি ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে; সে মৃত্যুর আগে টানা ৫০ দিন যাবত গেমটি খেলেছিল।ইউএস, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও ইতালিতে অনলাইন এই গেমটির সাথে জড়িত প্রায় ১৩০টি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। -তথ্যসূত্রঃ The Hindu ||
3/8/2017 ]
ছবিঃ কানস্তান্তিনোভা এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (ইন্টারনেট থেকে পাওয়া ছবি)
Charpoka.org থেকে দেখা যায় VK নামে একটি Social Site এ এক মহিলা F57 নামের একটা গ্রুপের মেম্বার ছিলো। ভদ্রমহিলা দেখতে পেলেন সেই গ্রুপ থেকে প্রতিদিন ডিপ্রেশনমূলক টিউন, গান, ছবি কিংবা ভিডিও ক্লীপ ইত্যাদি আপলোড করা হচ্ছে। অনেক মানুষ সে সব কন্টেন্ট শেয়ার করে থাকে নিয়মিত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে সদ্য মারা যাওয়া মেয়েও নিয়মিত ভাবে সেসব Share করতে থাকে।দেরি না করে ওই মহিলা গ্রুপটির ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করলো। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত দুই বছরে শুধুমাত্র রাশিয়ায় আত্মহত্যা করা ১৩০ জনের মৃত্যুর জন্যে দায়ী ওই F57 গ্রুপ। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই মেয়ে, যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছর। তবে যত জন আত্মহত্যা করেছে, তাদের কারো মোবাইলেই ব্লু হোয়েল গেমসটি পাওয়া যায় নি এবং কোনো সঠিক স্পষ্ট প্রমানো জুটে নি। সব গুলোই পুলিশের অনুমান যে তারা এই গেমস এর কবলে পড়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঢাকার নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ইন্টারনেটভিত্তিক প্রাণঘাতি 'ব্লু হোয়েল' গেমের প্রভাবে ১৩ বছরের এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সেট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
কিন্তু সঠিক কোনো প্রমান নেই যেটা দ্বারা স্পষ্ট যে ব্লু হোয়েলের কারনেই সে আত্নহত্যা করে। মৃত কিশোরীর বাবার সন্দেহ, ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস ব্লু হোয়েলের কবলে পড়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মেয়ের লিখে যাওয়া একটা চিরকূট থেকে এমন তথ্য মিলেছে বলেও তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
F57 VK Group
F57 গ্রুপের এ্যডমিনরা প্রথমেই গ্রুপের মেম্বারদের মধ্যে থেকে মাত্রাতিরিক্ত ডিপ্রেস্ড আর দুর্বল চিত্তের টিনএজারদের শনাক্ত করতো। তারপর তাদের একটা বিশেষ অলটারনেট রিয়েলিটি ভিত্তিক গেইম খেলার জন্যে আমন্ত্রন জানানো হতো। অলটারনেট রিয়েলিটি বলতে বুঝায় এমন এক ধরনের গেইম, যার টাস্কগুলো সম্পন্ন করতে হয় রিয়েল লাইফে, কিন্তু প্রমানস্বরুপ সেসব টাস্কের ছবি তুলে অনলাইনে আপ্লোড করতে হয়।
F57 গ্রুপ থেকে শেয়ার করা গেইমটির নাম হচ্ছে ব্লু হোয়েল (Blue Whale) কিংবা নীল তিমি। যারা এই গেইম খেলতে সম্মতি জানায়, তাদেরকে প্রথমেই নিজের নাম, পরিবার, বাসস্থান সহ অন্যান্য পার্সোনাল ইনফর্মেশন সাবমিট করতে হয় কিউরেটরের কাছে। কিউরেটর হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে গেইমারদের বিভিন্ন টাস্ক দিবে এবং তাদের সাবমিট করা প্রমান বা তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তি টাস্কের জন্যে গেইমারকে রেডি করবে।
ব্লু হোয়েলের বৈশিষ্ট্য
প্রচলিত আছে, [ গেমসটি একবার ইন্সটল করলে আর uninstall করা সম্ভব নয় কোনো ভাবেই। এবং এটি ইন্সটল করলে অনবরত নোটিফিকেশান আসতেই থাকে যা মোবাইল ব্যবহারকারীকে গেমস্টি খেলতে বাধ্য করে। ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি লেভেল রয়েছে। এক বা একাধিক কিউরেটর দ্বারা পরিচালিত এই গেমের শেষ লেভেলের টাস্কগুলো খুবই ভয়ংকর। তবে প্রথম দিকের লেভেল ও তার টাস্কগুলো বেশ মজার হওয়ায় এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন কিশোর-কিশোরীরা। নিয়ম অনুযায়ী একবার এই গেম খেললে বের হওয়া যায় না। কেউ বের হতে চাইলেও তাদের চাপে রাখতে পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয় বলে প্রচলিত আছে। এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যেমন ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, কখনো ভোরে একাকি ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেল লাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ নেয়ার পর এসব ছবি কিউরেটরকে পাঠাতে হয়। ২৭তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়। একবার এই গেম খেললে কিউরেটরের সব নির্দেশই মানা বাধ্যতামূলক। তার শেষের দিকের লেভেলে আত্মনির্যাতনমূলক বিভিন্ন টাস্ক সামনে এলেও কিশোর-কিশোরীরা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে, গেম ছেড়ে বের হতে পারে না। তবে গেমের শেষ ধাপ অর্থাৎ ৫০তম ধাপে ইউজারদের এমন কিছু টাস্ক দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ করা মানেই আত্মহত্যা। আর এর মাধ্যমেই ঘটে গেমের সমাপ্তি। ]
ব্লু হোয়েলের অস্তিত্ব
ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইট থেকে ব্লু হোয়েলের নাম শুনে অনেকেই হয়তো google বা সারা ইন্টারনেট খুজেও গেমসটি খুজে পান নি। তাই অনেকের মনেই চিন্তা আসে, ব্লু হোয়েল নামে কোনো গেমসের অস্তিত্ব আদোও কি আছে? অনেকে বলে এই গেমসটি google play store এ প্রথম দিকে ছিলো। পরে গুগোল তা সরিয়ে দিয়েছে play store থেকে। আবার অনেকেই বলে গেমস টি deep/dark web এ আছে। আর সাধারণ মানুষ ডার্ক ওয়েবে ঢুকে বা ঢুকতে পারে না বলে তারা ভেবে নেয় হয়তো সেখানেই গেমস টি আছে। যে ভাবেই হোক, ডার্ক ওয়েব ঘুরে এসে দেখবেন সেখানেও কোন ব্লু হোয়েলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হয়ে থাকে গেমসটি কিছু hidden বা লুকানো লিংক এ রয়েছে। আবার গেমসটি install করলে নটিফিকেশন এতই আসতে থাকে যা মোবাইল ব্যবহারকারিকে গেমসটি খেলতে বাধ্য করে। কিন্তু মোবাইলের apps এবং games এর App info তে গিয়ে নটিফিকেশন বন্ধ করা যায়।
তাই অনেকেই বলে নটিফিকেশনের মতো সামান্য জিনিস কখনোই গেমসটি খেলতে বাধ্য করতে পারে না। আবার যেকোনো গেমস বা অ্যাপ মোবাইলে ইন্সটল করলে uninstall button থাকে mobile এর সেটিংস এ। যেহেতু প্রচলিত আছে যে এ গেমসটি একবার ইন্সটল করলে আর আনইন্সটল করা যায় না, তাই ধরা যাক games টিতে কোনো uninstall button নেই। কিন্তু হয়তো শুনে থাকবেন, মোবাইলের সফটওয়্যার এ কোনো সমস্যার কোনো সমাধান না করতে পারলে টেকনিশিয়ানরা বলে থাকে যে 'আপনার ডিভাইস্টি flash দিতে হবে'। মূলত ফ্লাস দিলে মোবাইলের সিস্টেমের সব কিছু মুছে যায়, আর নতুন করে মোবাইলের দরকারি file গুলো আসে, যার ফলে flash দেয়ার পর মোবাইলটিকে নতুনের মতোই মনে হয়।
[অনলাইনে ব্লু হোয়েল গেমের অ্যাপ সম্পর্কে কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই বলছেন, একবার অ্যাপটি ইনস্টল করা হলে তা আর মুছবে না। এটাও ভুল তথ্য। কারণ প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, সব অ্যাপই মোছা সম্ভব।] সূত্রঃ কালের কন্ঠঃ৯ অক্টোবর, ২০১৭
আবার কোনো android phone user যদি root করে থাকেন তার মোবাইলে, তবে মোবাইলের সম্পূর্ণ access সে নিতে পারে। তখন সে মোবাইলের যে কোন app unistall করতে পারে, এমনকি system এর app গুলো।
যদিওবা বলা হয়ে থাকে যে গেমসটি ডার্ক ওয়েবের গেমস, আর যদি কারো dark web সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান থেকে থাকে, তবে তার জানা উচিত যে, ডার্ক ওয়েবে কারা ঘোরা ঘুরি করে বেশি! প্রত্যেক হ্যাকার dark web এ যায় প্রায়ই। সাধারণ মানুষ সেখানে তেমন যায় না, যদিও যার, তাদের বেশিরভাগ ই ছেলে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে blue whale গেমস্টি খেলে যারা মারা গেছে, তাদের অধিকাংশই মেয়ে। আর যেহেতু গেমসটি hidden link এ আছে, তাহলে গেমসটি পেতে হলে অবশ্যই তাকে খুব নিখুঁত ভাবে ডার্ক ওয়েবে খুজতে হবে।
এসব বিবেচনা করে অনেকেই এই গেমস এর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ করছেন।
তবে কি এটি গুজব?
এর উত্তর এক কথায় দেয়া সম্ভব না। এর উত্তর হ্যাঁ এবং না দুটোই। মূলত এটি কোনো গেমস না যেটি apps এর মতো install করা হয়। Blue Whale গেম আসলে কোন অ্যাপ্লিকেশন নয়, এটি বিভিন্ন সিক্রেট গ্রুপ (যেমন ফেসবুক বা VK গ্রুপ) থেকে পরিচালিত হয়। ঐসব গ্রুপের এডমিনরা নিজেদের 'কিউরেটর' হিসেবে চিহ্নিত করে।
বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত কিশোরদের (যারা ইতোমধ্যেই আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা করছে) বেছে নিয়ে তাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ করে। কোন সাধারণ মানুষ ওসব চ্যালেঞ্জ ভুলেও গ্রহণ করবে না, কারন প্রথম চ্যালেঞ্জটাই হলো হাত কেটে "f57" (বা অন্যকিছু) লেখা। হতাশাগ্রস্ত কিশোররা যেহেতু নিজের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে তাই তাদের জন্য এটা উত্তেজনাকর খেলার মতই মনে হয়। এরকম একের পর এক ভয়ঙ্কর চ্যলেঞ্জের মাধ্যমে কিউরেটর ভিকটিমের মেন্টাল কন্ট্রোল পেয়ে যায় এবং চূড়ান্তভাবে তাকে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দেয়। এই যে, গেমটি সুস্থ বিবেক বিশিষ্ট কারো ক্ষতি করতে সক্ষম নয় আর কিউরেটর কখনো সুস্থ বিবেক বিশিষ্ট কাউকে ইনভাইটও করেনা। যে গেমসটি খেলতে শুরে করে, সব তথ্য তারা প্রথমে নিয়ে নেয়। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে- এমন তথ্য প্রায়ই পাওয়া যায়। যেমন একটি ধাপে নুড(nude) ছবি পাঠাতে বলে তারা। এতে ব্ল্যাকমেইল হতে পারে তবে এজন্য কেউ জীবন দিবে তা যুক্তিতে পড়ে না। তবে কেউ যদি আগে থেকেই আত্মহত্যাপ্রবণ থাকে তাহলে সে হয়তো প্ররোচণায় আত্মহত্যা করতে পারে।এ গেমের শেষ কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। ধারণা করা হয় অনেককে এভাবে ব্রেন ওয়াশ করা হয় যে, মৃত্যুর পর নতুন আরেকটি সুন্দর জীবনের শুরু হবে। জঙ্গিরাও একই কায়দায় আত্মঘাতী হামলাকারী তৈরি করে। ঠিক একই ধরনের প্রলোভনেই হয়তো অনেকে ব্লু হোয়েল গেমের শেষে আত্মহত্যা করে।
শেষ কথাঃ একটি গ্রুপ যেমন কারো প্রাণ নিয়ে নিতে পারে, তেমনই সেই গ্রুপের সাথে জুড়ে থাকা নানা গুজবও মানুষকে চরম মানষিক ভোগান্তির মধ্যে ফেলতে পারে। blue whale নিয়ে যারা ভাবে যে, যেকেউ যে কোনো সময় এই গেমস এর ফাঁদে পড়তে পারে, তাদের ধারণা ভুল। কারণ কখনোই জেনে শুনে কেউ এই গেমসএ পা দিবে না, যদি না সে ব্যক্তি কোন মানষিক রোগে আক্রান্ত না হয়ে থাকে।
Comments
Post a Comment